নেতাকর্মীরা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের বাড়ি ঘেরাও করছে না কেন, এমন প্রশ্ন করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলের সর্বস্তরে আন্দোলন কর্মসূচির দাবি থাকলেও কোনো ঘোষণা না আসায় এ কথা বলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর বলেন, ‘সবাই আন্দোলনের কথা বলছেন, আমরা নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারছি না। তাহলে আপনারা আমাদের কথা শুনছেন কেন? আপনারা আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করছেন না কেন?’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইস্যু একটা হওয়া উচিৎ। আমাদের ইস্যু একটাই, সেটা হলো গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এজন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি মর্যাদাপূর্ণ উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি নেবেন না, তিনি প্যারোলে মুক্তি নিতে পারেন না। কারণ, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। আন্দোলনের মাধ্যমেই তার মুক্তি মর্যাদাপূর্ণ। একজন আপসহীন নেত্রী জেলখানায় থাকবেন আর আমরা প্যারোলে মুক্তির জন্য প্যারোল আর আদালতে দৌঁড়াবো? আমরা আন্দোলন করবো, রাজপথে সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আন্দোলনটাই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।’
বিএনপির নীতি নির্ধারকদের মধ্যে অন্যকম গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি মৃত্যু অনিবার্য। সেই মৃত্যুকে যদি রোধ করতে না পারি, তাহলে আমরা কাপুরুষের মতো রাস্তায় নামতে ভয় পাই কেন? খালেদা জিয়া জেলে গেছেন, আমাদের মধ্যে দুই-চার-পঞ্চাশ-একশটা রাস্তায় গুলি খেয়ে পড়ে যাইনি, তাহলে আমরা নেত্রীকে কোন মর্যাদায় রাখলাম? আমাদের নেতা হওয়ার পেছনে যার অবদান, তার জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই? যদি থাকে তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা যারা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, এটা হচ্ছে অপরাধ।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজনটি করে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম। ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেরা নাজমুল মুন্নী, কৃষক দলের নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম, জাসাস নেত্রী চিত্রনায়িকা শাহরিয়া ইসলাম শায়লা প্রমুখ।