আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। তিনি সন্ত্রাস-দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজি বিরোধী শুদ্ধি অভিযান সফল করতে হবে। শেখ হাসিনা নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতি করেন না। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেন।
আজ শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযান সফল করতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছে আমি শুধু এই আহ্বান জানাব, নেত্রীর শুদ্ধি অভিযান আপনারা সফল করবেন।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক বলেন, মাদককে না বলুন, সন্ত্রাসকে না বলুন, দুর্নীতিকে না বলুন, টেন্ডারবাজিকে না বলুন, চাঁদাবাজিকে না বলুন, ভূমিদস্যুতাকে না বলুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পলিটিশিয়ানের সীমানা পেরিয়ে আজকের স্টেটসম্যান। তিনি রাজনৈতিক নন যুবলীগ যথার্থই বলে যে তিনি রাষ্ট্রনায়ক। পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে যিনি ভাবেন সেই হচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক। গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সৎ ব্যক্তি, জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, বিচক্ষণ নেতা, দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। যার উন্নয়ন অর্জন শুধু এ দেশে নয়, সারা বিশ্বে সমাদৃত।
এর আগে সকাল ১১টায় যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এই কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন।
যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ বক্তব্য রাখেন। কংগ্রেসে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়ার সদস্য মুজিবুর রহমান এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুবলীগের প্রেসিডিয়ার সদস্য বেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়।
সম্মেলন স্থলে অন্যানের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ও মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ ও এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর ড. সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।