উন্নয়নশীল দেশ ও ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)-এর ৩১তম সাধারণ সভায় তিনি একথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ ও ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এই অধিবেশনে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ব্লু ইকোনমি কৌশলপত্র বাস্তবায়ন ও নৌ-বাণিজ্য সেক্টরে নারীদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। নৌ-বাণিজ্য ও সমুদ্রের তলদেশে মৎস ও খনিজ সম্পদের মালিকানা নিশ্চিত করতে স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সীমানা আইন প্রণয়ন করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন সওদাগর এমপি, এম এস শাহজাদা এমপি, ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনীম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহিদুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের পলিসি উপদেষ্টা/পরামর্শক ড. মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব আবরাউল হাছান মজুমদার, বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব রিপন চৌধুরী প্রমুখ।
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ৩১তম এই অধিবেশনে সামুদ্রিক নৌযান ও পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন, আইন, বিধি ও চুক্তি নিয়ে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে কয়েক দিনব্যাপী আলোচনা ও বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।