হলি আর্টিজান হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান ‘আইএস টুপি’ পরে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। পুলিশি হেফাজতে থাকার পর তিনি কীভাবে এ টুপি পেলেন তা নিয়েই চলছে নানা সমালোচনা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কি এটার জবাব দিতে পারবো? তবে এটা কীভাবে এলো সেটা অবশ্যই তদন্ত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইএস টুপি কীভাবে আসলো আমি তো এখন এটার জবাব দিতে পারবো না। আমার পক্ষে এটার জবাব দেওয়া সম্ভবও না। তবে আমি নিশ্চিত মনে করি, এই বিষয়টার একটা তদন্ত হওয়া উচিত। আমি আপনাদের বলছি, আমি এই বিষয়ের তদন্ত শেষ করে প্রেস কনফারেন্সে আপনাদের জানাবো।’
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইমেজ সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, আমরা সারা বিশ্বকে প্রমাণ করতে পেরেছি যে বাংলাদেশে এ রকম হত্যাকাণ্ড হলে তার বিচার অত্যন্ত দ্রুত হয় এবং সকল বিচার আইনি ফরমালিটিস ফলো করে সম্পন্ন করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ডিসেম্বর থেকে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রয়োজনীয় ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচারিক আদালত আজকের এই রায়ে উপনীত হয়েছিলেন। আজকের এই রায় দিয়েছেন।’
এ সময় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার বিচার কার্যক্রম এবং এই রায়ে সন্তুষ্টির কথাও জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিচার শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় আজ বুধবার দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মজিবুর রহমান সাতজনের ফাঁসির রায় দেন আদালত। সেইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। আসামিদের মধ্যে রিগ্যান ‘আইএস টুপি’ পরে আদালতে যান।