‘যে একবার টাকা বানাতে থাকে তার বারবার টাকা বানাতে ইচ্ছে করে’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন: আসলে টাকা বানানো একটা রোগ-ব্যারাম, এটা একটা অসুস্থতা। কারণ যে একবার বানাতে থাকে তার টাকা বানাতেই ইচ্ছে করে। কিন্তু এ টাকায় শান্তিতে ঘুমানো যায় না।
শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি বলেন: কেউ অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করবেন, বিলাসবহুল জীবন যাপন করবেন আর কেউ সৎভাবে জীবন যাপন করে সাদাসিধে জীবনযাপন করে তার জীবনটা নিয়ে কষ্ট পাবেন, তা হতে পারে না। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিরিয়ানি পোলাও খাওয়া আর ব্র্যান্ড পরা থেকে সাদাসিধে জীবনযাপন করা অনেক সম্মানের। অন্তত সারাক্ষণ অবৈধভাবে চোরা টাকা, এটা মনে আসবে না; শান্তিতে ঘুমানো যাবে।
তিনি আরও বলেন: কিন্তু ওই টাকার (অবৈধ) ফলে ছেলে-মেয়ে বিপথে যাবে। ছেলে মেয়ের পড়াশোনা নষ্ট হবে, মাদকাসক্ত হবে। সেগুলো দেখার সময় নাই। টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে তো নিজের পরিবার ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এই ধরনের একটা সামাজিক অবস্থা আমরা চাই না। আমরা চাই সৎ পথে কামাই করে যে চলবে, সে সম্মানের সঙ্গে চলবে। সৎ পথে কামাই করে যে থাকবে সে সমাজে সম্মান পাবে।
আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে সৎভাবে জীবনযাপন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন: চোরা টাকা, দুর্নীতির টাকা নিয়ে যতই বিলাসিতা করুক মানুষ মুখে হয়তো বাহবা দিবে, পেছনে হয়তো একটা গালিও দিবে- ‘ওই বেটা দুর্নীতিবাজ, চোর’। সেই গালিটা হয়তো শোনা যাবে না, বোঝা যাবে না। কিন্তু সেই গালিটা খেতে হয়। এই কথাটা মনে রাখতে হবে, জাতির পিতা সারাজীবন সাদাসিধে জীবনযাপন করে গেছেন। কাজেই আপনারা যারা তার আদর্শের সৈনিক সেই অনুযায়ী চলতে হবে।
এসময় জাতির পিতার কন্যা নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন: পানি ও বিদুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাস থেকে খাবার খেয়ে বাইরে ফলা যাবে না। প্রয়োজনে বাসে বিন রাখতে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন: আমরা মেয়েদের জন্য বাস কিনি, ওরা জ্বালিয়ে দেয়। আমরা গড়ি, ওরা ধ্বংস করে। ওরা (বিএনপি) ধ্বংস করতে পারে সৃষ্টি করতে পারে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে।
এসময় মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।