কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ডিএপি সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ‘ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি)’ সারের দাম কমানো সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও কৌশলী নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অভূতপূর্ব সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বাংলার উর্বর ভূমিতে রোপিত কৃষকের শ্রম-ঘাম ও প্রাণশক্তি-সমৃদ্ধ স্বপ্নবীজ থেকে অঙ্কুরিত সম্ভাবনার দীপ্তিতে প্রস্ফুরিত হচ্ছে সয়ম্ভর আগামীর হাতছানি। ২৪ টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষির বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী সার ‘ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি)’-এর খুচরা বাজার মূল্য ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকায় নামিয়ে আনা অর্থাৎ কেজি প্রতি ৯ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থরক্ষায় সময়োপযোগী ও দূরদর্শী এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের প্রধান অগ্রাধিকার কর্মসূচি। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির মজবুত ভীত রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও কৃষিখাতকে টেকসই উন্নয়নের প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। দশ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট, ন্যায্য মূল্যে সার-তেল বীজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করে সেচ কার্যক্রমকে সহজ ও স্বল্প-খরচে সম্পন্ন করার সুযোগ সৃষ্টি, ভূমি ও আবহাওয়া অনুযায়ী বিভিন্ন শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধিসহ বর্তমান সরকারের গৃহীত অসংখ্য পদক্ষেপে কৃষি ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত ও স্বীকৃত।’
বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। চারদলীয় জোট সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয় বাংলাদেশ কৃষি খাতে চরম অস্থিরতা দেখা দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্যা সঙ্কুল কৃষিখাতের সকল প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ জয় করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশবাসী।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি অর্থনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অধিকতর উৎপাদনশীল ও লাভজনক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উদ্যোগ এবং কৃষি উপকরণ ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাসের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণ। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, মাছ চাষে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম এবং আলু উৎপাদনে অষ্টম স্থানে রয়েছে। পাট ও ইলিশের জেনম আবিস্কার করে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্রমাগতভাবে বাঙালি জাতিকে বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত করে চলেছেন। আমাদেরকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন। তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।’