বর্তমানে বাংলাদেশে যে মানবাধিকার পরিস্থিতি চলছে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কখনোই ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) গুলশানের লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, গত দশ বছরে শুধুমাত্র ভিন্নমত এবং ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা পোষণ করার কারণে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলা দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১৪টি। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সরকার এবং আওয়ামী লীগের হাতে মারা গেছেন ১ হাজার ৫২৬ জন। গুম হয়েছেন আমাদের হিসাব মতে, বিএনপির ৪২৩ জন, সর্বমোট ৭৮১ জন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় গত ২০ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এসব মামলায় যারা আসামি আছেন তারা সবাই জামিন পেয়েছেন এবং জামিনে আছেন। কিন্তু দেশনেত্রীকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে সরকার তাঁর জামিনে বাধাগ্রস্ত করছে।’
তিনি বলেন, ‘যতটুক জানি তাঁর যে মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল, সেই মেডিকেল রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত আসেনি। আমরা যেটুকু জানি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল সেই রিপোর্ট বাদ দিয়ে এখন অন্য একটি রিপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে আমরা পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রাখার ব্যবস্থা করছে সরকার। এতে করে উনার যে অধিকার এবং মানবাধিকার আছে সেটা চরমভাবে লংঘন হচ্ছে।’
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানসহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গত দশ বছরে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে ঘুম এবং খুন হওয়া বিরোধী দলের মোট ২৭ টি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।