জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এর আগে দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা যদি সত্যি সত্যি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, আমি বলব অহেতুক সময় নষ্ট না করে সংবিধানের যে প্রভিশন আছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। সেই পথেই এগুলে আমার মনে হয় সবচাইতে ভালো হবে। অহেতুক সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।’
আর কোনো আইনি পথ খোলা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই খোলা আছে। কিন্তু তাদের মামলার যে মেরিট, তারা সেটা বোঝে যে এই মামলায় তাদের মুক্তি পাওয়ার বা জামিন পাওয়ার কোনো রকম কারণ নাই। কাজেই তাদের ওই পথটাই অবলম্বন করা উচিত।’
দ্রুত খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া একমাত্র পথ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একমাত্র পথ হচ্ছে, এই মুহূর্তে আমি মনে করি কনস্টিটিউশনের যে বিধিবিধান, যে প্রভিশন-সেই প্রভিশন অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
কিন্তু এই মামলায় ক্ষমা চাইলে হবে, আরও তো মামলা আছে-এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সব মামলার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি একসাথে তাকে সব বিষয়ে ক্ষমা করতে পারেন। যদি রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে পোষণ করেন।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে আদালত বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া যদি সম্মতি দেন তাহলে তার চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট শুরু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
এই পর্যবেক্ষণসহ আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।