দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।
মহান বিজয় দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার চলমান দুর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে অভিযানে কৃষকলীগের একাত্মতা শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজ মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সে রয়েছেন। বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশ করছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর জায়গায় যাচ্ছি। আজকে কৃষকলীগ এর বিরুদ্ধে যে শপথ নিয়েছে আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শুদ্ধি অভিযান চলছে। অনেকেই মনে করেন আমরা থেমে গেছি। আমরা আসলেই থেমে নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই অভিযান চলমান রাখবো। আমরা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালাবো।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। ১৯৭১ এর পরে কোন মুসলমান ভারতে যায়নি। রাজাকারের তালিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন এসেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে দালাল আইনে বিবাদীদের লিস্ট মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আমরা উইথড্রগুলোর নোট দিয়েছিলাম। সেটা তালিকায় যাথাযথভাবে আসেনি। আশা করি তারা যাথাযথভাবে যাচাই বাছাই করে তা প্রকাশ করবে।
এসময় কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, মননীয় প্রধানমন্ত্রী যাথাসময়ে যাথাযথ সিদ্ধান্ত নেন। চলমান দুর্নীতি, মাদক ও মদতদাতাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কৃষকলীগ আজ শপথ নিয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি।