ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরুসহ ডাকসু ভবনে অর্ধশত ছাত্র নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্রনেতা এবিএম সোহেল, হাসান আল মামুন ও রাশেদ খান ফারুকসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হন। কেউ কেউ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’
ড. কামাল বলেন, ‘তাদেরকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ডাকসু ভবনের আলো নিভিয়ে বর্বরোচিত নির্মম হামলা চালানো হয়। তুহিন ফারাবি লাইফ সাপোর্টে আছে। আমরা দেশবাসীকে দ্ব্যর্থহীন জানাতে চাই- তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যে জঘন্য ও বর্বর হামলা করেছে, তা লাখো শহীদের প্রতি চরম অবমাননা।’
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘ভোট ডাকাত সরকার টিকে থাকার জন্য একের পর এক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর এ রূপ পৈশাচিক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যফ্রন্ট মনে করে দলমত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য।’
নুরসহ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানেই বলা আছে- এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়ার কথা।’
ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।