‘নুরের ওপর হামলা ষড়যন্ত্রের অংশ কি না খতিয়ে দেখা হবে’

ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এটা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, আমরা কখনোই এই ধরনের হামলাকে সমর্থন করি না। হামলার পরপরই আমাদের দলের জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ দুজন নেতা সমবেদনা জানাতে সেখানে (হাসপাতালে) গিয়েছিলেন। তারা দলের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছেন, দলের সাধারণ সম্পাদকও এ বিষয়ে বলেছেন। আমাদের বক্তব্য একই, আমরা এই ধরনের ঘটনাকে কখনও সমর্থন করি না। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিন্দনীয়।

তিনি বলেন, কিন্তু এখানে আরো কয়েকটি প্রশ্ন থেকে যায়। সেটি হচ্ছে ডাকসুর ভিপি নূর কেন বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসু ভবনে গেলেন? এতগুলো বহিরাগতকে নিয়ে সেখানে যাওয়ার কী প্রয়োজনীয়তা ছিল? দ্বিতীয় হচ্ছে, আপনারা দেখেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র আছে। রাজনৈতিকভাবে সরকারকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়, সেই পক্ষ যৌথভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মধ্যে যে কোনো দলের মানুষ থাকতে পারে। ছাত্রলীগ থাকতে পারে, ছাত্রফ্রন্ট থাকতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছাত্র সংগঠনের যে কোনো নেতা থাকতে পারে। তবে যারাই ঘটনা ঘটিয়ে থাক, এর তদন্ত ‘অবশ্যই’ হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

এ সময় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি আওয়ামী লীগ শুধু এদেশের রাজনীতিতে নয়, জাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে সব সময় কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন থেকে যারা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে, তাদের অনেককিছু শেখার আছে। যারা রাজনীতিতে কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিল তাদেরও অনেককিছু শেখার আছে। আওয়ামী লীগে প্রতি তিন বছর পর পর নিয়মিত সম্মেলন হয়। যেটি বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ অনেক দলে হয় না। আমাদের দলে নেতা নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এটা অনেক দলে নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। এজন্য তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আমাকে পরিবেশ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেটি আমি দায়িত্ব সহকারে ১০ বছর পালন করেছি। আমাকে প্রচার সম্পাদক বানিয়েছেন, দীর্ঘ সাত বছর সেটিও আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমার জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যেন সে আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা বলে জানান তিনি।