ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। সোমবার(২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনীতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন,মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনে আমরা অংশ নেব এ সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেব আমরা নিচ্ছি সে ধারাবাহিকতায় আমরা এ নির্বাচনেও অংশ নেবো। সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের পরিস্থিতি কি দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। আমরা মনে করি, হঠাৎ তড়িঘড়ি করে প্রকাশ করা হল। যার পেছনে নির্বাচন কমিশনের মূল উদ্দেশ্য থাকে, সেটাই আছে বলে আমরা আশঙ্কা করি। তারা সরকারি দলকে জেতানোর জন্য তাড়াহুড়া করে সিডিউল ঘোষণা করেছে।
ইভিএম প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা অত্যন্ত আপত্তিজনক। আমরা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, ইভিএমে যথেষ্ট সুযোগ থাকবে ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করার। এজন্যই আমরা এটার বিরোধিতা করেছি।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ দুই কর্পোরেশনের আমাদের দলের আগ্রহী মেয়র প্রার্থীরা আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের মনোনয়ন নেবেন। ২৭ তারিখ বিকেল ৪ টার মধ্যে জমা দেবেন এবং ২৮ তারিখে পার্লামেন্টারি বোর্ড বসবে, সেখানে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে। আর যেহেতু কমিশন দলীয় মনোনয়নের হচ্ছে না সেহেতু আভ্যন্তরীণ আমাদের দলীয় সিদ্ধান্তেই থাকবে।
এর আগে বিকেল ৪ টায় এ বৈঠক করেন দলের স্থায়ী কমিটি। লন্ডন থেকে স্কাইপি যুক্ত হয়ে বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে এ্যামিন্যাস্টের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ বিবৃতিতে দেওয়ার জন্য দলের স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শুধু দেশে নয় আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলো খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে সরকার প্রকৃত চিকিৎসা দিচ্ছে না, তার যে প্রাপ্য যে জামিন এ বিষয়ে তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।