জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সরকার, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন চাইলেও সব সময় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নাও হতে পারে। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিএসসিসির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি এবারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে। আমাদের প্রার্থীদের সম্ভাবনা বেশি দেখছি। প্রার্থী ভালো হোক মন্দ হোক, তাদের পক্ষে কাজ করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কাউন্সিলর পদে জাতীয় পার্টি দলীয় মনোনয়ন দিতে পারবো না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তবে তাদের সেভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। কাল-পরশুর মধ্যে প্রার্থিতা ঘোষণা করবো। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না, তারা যদি ভোট করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগে মহাজোটের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছিলাম, ওরা প্রস্তাব দিলো ৫ জন কাউন্সিলর দেবে। আমি সেই প্রস্তাব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তৎকালীন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বাধা দেন। বাবলু ভাই তখন বলেছিলেন, আমরা এককভাবে ভোট করলে দশ-পনেরটি ওয়ার্ডে জিতে যাবো। কিন্তু আমাদের একজনও পাস করতে পারলো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রশ্ন উঠছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। এ জন্য মাঠে থাকতে হবে, জনগণ সঙ্গে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত কোনো ষড়যন্ত্র বাধা হতে পারে না।’
প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল আলম রুবেলসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমাদান অব্যহত থাকবে। জাতীয় পার্টি মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দিতে চায়। একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী পাওয়া গেলে সমঝোতার ভিত্তিত্বে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।