নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ছাত্রলীগ

প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ বাহাত্তর বছর পূর্ণ করল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ দুপুর আড়াইটায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১১১টি সাংগঠনিক জেলার সাবেক বর্তমান নেতারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

প্রতিষ্ঠালগ্নে নাইমউদ্দিন আহম্মেদকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর আরমানিটোলায় ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলনে দবিরুল ইসলাম সভাপতি ও মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের নির্দেশনা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি উৎসবমুখর করতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে আঁকা হচ্ছে সাত দশকের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস- ‘চিত্রপটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।

সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুরু হয় ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা। সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কাটা হয় কেক।

৬ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে হবে রক্তদান কর্মসূচি। ৭ জানুয়ারি সকালে কোমলমতি শিক্ষার্থদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও বিকালে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে ছাত্রলীগ।