প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না, তিনি দলের নেতাকর্মীদের পকেট ভারীর রাজনীতিও করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনির ফাইভ স্টার মাঠে আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করেন-উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা গরীবের সরকার আর বিএনপি গরীব মারার সরকার। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বাড়ে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি দলের নেতাকর্মীদের পকেট ভারীর রাজনীতিও করেন না। তিনি রাজনীতি করেন দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলতি শীত মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত পড়েছে। এই শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে উত্তরাঞ্চলের একজন শীতার্ত মানুষও যেন কষ্ট না পায়, একজন মানুষও যেন শীতবস্ত্রের অভাবে মারা না যায়। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আজ আপনাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এসেছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনাদের আপন মানুষ। তাই তিনি আপনাদের সকল দুঃখ-কষ্টের কথা বোঝেন; সব সময় আপানদের পাশে থাকেন। তিনি অতীতেও আপনাদের পাশে ছিলেন এবং আগামীতেও থাকবেন।’
বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি করে, তারা জনগণের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাই তারা আজ শীতার্তদের পাশে নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় বসে টেলিভিশনে শুধু নালিশ করেন।’
শেখ হাসিনার সরকারের আমলে প্রতিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের আগেই হেরে যায়। তারা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই কারচুপিসহ নানা রকম অভিযোগ তোলেন। ইভিএম হচ্ছে ডিজিটাল এবং বিশ্ব স্বীকৃত ও আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির সাহায্যে অল্প সময়ে ভোট প্রদান এবং গণনা করা যায়। আর বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। অথচ বিএনপি সিটি নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার চায় না। তারা ডিজিটাল বাংলদেশ চায় না। তারা চায় এনালগ বাংলাদেশ।’
আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-নারী সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মেমিন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মুজিবুল হক, সহসভাপতি মোনায়মুল হকসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা ।
অনুষ্ঠানে সৈয়দপুরের জন্য তিন হাজার এবং নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের আটটি জেলার জন্য ৫০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।