বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জজ কোর্ট এলাকা দিয়ে এই প্রচারণা শুরু করেন ইশরাক।
প্রচারণার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে ঢাকা শহরের চিত্র হলো যানজটে মানুষ চলতে পারে না। এই ঢাকা শহর পৃথিবীর সবচাইতে বেশি বায়ু দূষণের নগরী হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা এই ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত করতে চাই, যানজট মুক্ত করতে চাই, আধুনিক শহরে পরিণত করতে চাই এবং বসবাস উপযোগী ঢাকা বিনির্মাণ করতে চাই। এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল একজন তরুণ ও শিক্ষিত যুবক ইশরাক হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছে।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আজকে ঢাকাবাসীসহ সারা দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি জনগণকে আহ্বান জানাব, সরকার দলের প্রার্থীরা আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসছে, আপনারা তাদের জিজ্ঞেস করবেন আজকে দেশের অর্থনীতির অবস্থা কী? আজকের দেশের মানুষের জীবন বিপন্ন। সারা দেশের ন্যায় ঢাকাবাসী ও পরিবর্তন চায় আর এই পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইশরাক হোসেনকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘ইশরাক হোসেন একজন ইঞ্জিনিয়ার ও এই শহরে সাবেক সফল মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং তিনি আপনাদের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইতে এসেছেন। আমাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যেসকল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আছে তাদেরও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করবেন ও ইশরাক হোসেনের হাতকে শক্তিশালী করবেন।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার কারণ হলো তিনি একজন প্রকৌশলী। তার বাবা অবিভক্ত ঢাকার সাবেক সফল মেয়র। তিনি ঢাকাতেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং ঢাকাতেই বেড়ে উঠেছেন। এ কারণে ঢাকার সকল সমস্যাগুলো তার জানা। একটি আধুনিক শহর কিভাবে করতে হয় তা তিনি পরিবার থেকে শিখেছেন এবং তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে শিখেছেন। তিনি জানেন কীভাবে একটি আধুনিক শহর গড়তে হয়। তাই আমি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাব, আধুনিক ঢাকা গড়ার লক্ষে ইশরাক হোসেনকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন।’
ইশরাকের প্রচারণায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।