‘নারী নির্যাতনের ঘটনা বিচারহীন অবস্থায় রাখতে চায় না সরকার’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার সম্পর্কিত সরকারের অনেক সাফল্য রয়েছে। তবে অনেক অর্জনের মধ্যেও বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিশেষ করে নারী নির্যাতন বন্ধের ক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, সরকার ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের ঘটনাকে কোনোভাবেই বিচারহীন অবস্থায় রেখে দেবে না। এ বিষয়ে সরকার অনেক সজাগ। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা/সংগঠনগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ তারা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক-২০২০’ শীর্ষক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির সঙ্গে মানবাধিকার নিবিড়ভাবে জড়তি। সেজন্য সরকার সব উন্নয়নের প্রয়াসে মানবাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে আসছে।

আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে ‘আইনের চোখে সমতা’ নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। সে লক্ষ্যে সরকার সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভ, জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা এবং বাক, মত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে সদা নিয়োজিত। ফলে প্রতিটি নাগরিক ধর্ম, শিক্ষা, সমিতি, পেশা, বাণিজ্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে সংবিধান মোতাবেক পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করেন। মানবাধিকার বিষয়ক এনজিওসমূহ বিভিন্ন বিষয়সমূহ গঠনমূলকভাবে প্রান্তিক জনগণের সামনে উপস্থাপন করছে এবং বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া নির্ভয়ে ও পক্ষপাতহীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, যা নাগরিক সমাজের মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে সক্রিয় এবং সোচ্চার মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

এমজেএফ’র গভর্নিং বোর্ডের সদস্য পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জুডিথ হার্বাটসন, ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্রিসটিন জোহানসন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছেন এমন ১০ জনকে ২০২০ সালের ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক’ সম্মাননা দেয়া হয়।

তারা হলেন- গাইবান্ধার মোছা. বেলী বেগম, দিনাজপুরের মোছা. রেহানা বেগম, মালতী রানী, কুষ্টিয়ার মোছা. সালেহা বেগম, মোছা. হালিমা খাতুন এবং মোছা. নূরজাহান বেগম, সিরাজগঞ্জের মো. খায়রুজ্জামান মুননু, কিশোরগঞ্জের আনোয়ারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. হেদায়তুল আজিজ (মুন্না) এবং খাগড়াছড়ির চঞ্চলকান্তি চাকমা।