আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১ তারিখে বোঝা যাবে গণজোয়ার ধানের শীষের পক্ষে না নৌকার পক্ষে, সেটা সেদিনই প্রমাণ হবে।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সামসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ধানের শীষের গণজোয়ার এসেছে বিএনপির এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘ধানের শীষের গণজোয়ার এটা দিবাগত স্বপ্নের মতো, এর কোনো বাস্তবতা নেই। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে বোঝা যাবে গণজোয়ার কোন দিকে। গণজোয়ার ধানের শীষের পক্ষে না নৌকার পক্ষে, সেটা সেদিন প্রমাণ হবে। দিবা স্বপ্ন দেখে তো লাভ নেই। তারা দিবা স্বপ্ন দেখতে পারেন, এ রকম দিবা স্বপ্ন ও গণজোয়ারের কথা জাতীয় নির্বাচনের আগেও তারা বলেছেন কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।’
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ছাড়া আর কেউ অভিযোগ করবে না। কারণ বিএনপির এখন রাজনীতিই হচ্ছে অভিযোগ আর নালিশের। তারা বিরোধীদল হিসেবে দেশের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী। তারা রাজপথে আন্দোলন করে বিরোধীদল হিসেবে সফলতা পায়নি। নির্বাচনেও তারা পরাজিত ও ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নালিশ নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। যে কোনো ব্যাপারে অভিযোগ ও নালিশ করা তাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে এবং এটি তারা করছে।’
ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ভোট কারচুপির কথা ভোট গণনা পর্যন্ত বলতে থাকবে। এটা তাদের পুরানো অভ্যাস। চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জিতেই গেছে, তারপরও দেখা গেছে তাদের প্রার্থী রাস্তায় বসে গেছে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে। বলে গেছে ভোটে কারচুপি হয়েছে অথচ পরে দেখা গেলো তারাই জিতেছে। এসব অভিযোগ থেকে বিএনপিকে নিবৃত্ত করার জন্য তাদের গ্যারান্টি দিতে হবে যে জয়ের মালা তাদেরই। সেটা করার আগে নির্বাচন কমিশন যদি আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়, বিএনপির জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত সে পর্যন্ত তারা বলেই যাবে। বিএনপিকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচনে আপনারা জিতবেন তাহলে যদি বন্ধ হয় এ সব কল্পিত অভিযোগ।
মির্জা আব্বাস সকালে বলেছেন কারচুপি হলে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মির্জা আব্বাসের মনে যে কী আছে, তা আমরা কি কেউ জানি?
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম আলো ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আদালতের বিষয়। আমরা এই ইস্যুতে কিছু বলতে চাই না। এটা আদালতের বিষয়, আদালত যদি জামিন দেয় দেবে। জামিন দেয়ার এখতিয়ার আদালতের। বিচার বিভাগ স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ তাদের যে ক্ষমতা রয়েছে সেখানে আমাদের সরকার বা দলের কিছু বলার নেই।
গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের জন্য কী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা আদালতের বিষয়। গ্রেফতারি পারোয়ানা আদালত থেকে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। যা হবে আদালতে হবে। জামিন দিলেও আদালত দেবে, মুক্তি দিলেও আদালত দেবে। সরকারের এখানে ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো ব্যাপার নেই। আমরা কেন এখানে জড়াতে যাবো। এটাতো সরকারের সঙ্গে তাদের কোন দ্বন্দ্বের কিছু নেই। এটা একটা ঘটনা ঘটেছে। তার প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তারা আবার জামিন নিয়েছে৷ এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।