রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, রোহিঙ্গারা আমাদের অতিথি। তাদের প্রতি আমাদের মানবিক হতে হবে। তারা মার খেয়ে পানিতে ভেসে আসছে। তাদের প্রতি আমরা মানবিক আচরণ করবো। তাদের যাতে সম্মান রক্ষা হয় সেই বিষয়টি দেখতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরের সার্কিট হাউসে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। ক্লিক করলেই বাংলাদেশের লোকসংখ্যা জানার ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী এসময় বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে শিগগিরই একটি অ্যাপস চালু করা হবে। ২০ বছর বা তার আগেই ওই অ্যাপসের মাধ্যমে যে কেউ প্রতিদিন, প্রতি মিনিটে দেশের লোকসংখ্যা জানতে পারবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।
এম এ মান্নান বলেন, কেউ ভুলের উর্ধে নয়। জনশুমারি ও গৃহগণনা করতে গিয়েও কিছু ভুল হয়। কিন্তু আমরা এবার খুব ভালোভাবে জনশুমারি ও গৃহগণনা করতে চাই। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত হবেন তাদের আগের চেয়ে চারগুণ সম্মানি ভাতা দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। জনশুমারি এই বিভাগ, ওই বিভাগের কাজ নয়। এটি সবার কাজ, সবাই মিলে এই কাজকে আমরা সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যেই আমরা জনশুমারির একটা সংখ্যা নিয়ে আসতে পারবো। সুইডেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডে প্রতিবছর জনশুমারি করা হয়। সেই ব্যবস্থা আমরাও নিয়ে আসবো। অনেকে ক্যালেন্ডার ইয়ার অনুসরণ করতে বলেছেন। আমিও ক্যালেন্ডার ইয়ারের পক্ষে। কারণ আমাদের বছর জুন-জুলাই হওয়ার কারণে অনেক সময় ব্যতিক্রম লাগে।
বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ ও আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে কোড করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো এখন বিশ্বমানের। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো স্বীকার করেছে, আমাদের ব্যুরোর তথ্য অনেক এগিয়েছে। এমনকি আইএমএফ তাদের সংখ্যার সঙ্গে আমাদের সংখ্যা মিলিয়ে দেখে প্রায় একই পেয়েছে।