নির্বাচনী ডামাডোল শেষ করে জয়ী হলেও দায়িত্ব পেতে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত মেয়রদের। আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে আইন অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তরে ভোট হওয়ার পর ১৪ মে প্রথম সভা হয়। সেই হিসাবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে আগের নির্বাচিতরা। আর ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল উত্তরের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটিতেও ভোট হয়েছিল, তাতে মেয়র হন সাঈদ খোকন। তার করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ১৭ মে অর্থাৎ, তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
দুই সিটির নবনির্বাচিতদের নাম, ঠিকানাসহ ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ইসির অনুমোদনের জন্য চলতি সপ্তাহে পাঠানো হতে পারে। এরপর শপথ আয়োজনের বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগ দেখবে।
আতিক উত্তরের মেয়র পদ আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ছেড়ে নতুন নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনর্নিবাচিত হন। অন্যদিকে দক্ষিণে মেয়রের দায়িত্বে থাকা সাঈদ খোকনের এই নির্বাচনে অংশ নেয়া হয়নি। ফলে তিনি পদে রয়ে গেছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্বকাল কখন শুরু হবে, তা পরিষ্কার। বর্তমান মেয়র মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই নতুন নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব নেবেন। সেক্ষেত্রে সাঈদ খোকনের মেয়াদ শেষে দায়িত্ব নেবেন শেখ ফজলে নূর তাপস।
হেলালুদ্দীন বলেন, ‘আমার মনে হয় সবাইকে মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে গেজেটের পর শপথ হয়ে থাকলেও অসুবিধা নেই।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ফজলে নূর তাপস। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে দুই সিটির নগরপিতার দায়িত্ব পেয়েছেন আতিকুল-তাপস।
ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ডিএনসিসিতে নৌকা প্রতীকে আতিকুল ইসলাম পান ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট, আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পান ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট। ডিএসসিসিতে নৌকা প্রতীকে তাপস পান ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট, আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।