ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ভোটের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। আজ বুধবার বেলা ১১টায় গুলশান ইমানুয়েল ব্যাংকুয়েট হলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন কেবল বিএনপির নেতাকর্মী বা সমর্থকরা হামলার শিকার হননি। ওইদিন নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, পুলিশের গায়ে হাত তোলার অপরাধে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন কাউন্সিলর গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার অপরাধে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশকে পেটালে গ্রেপ্তার আর সাংবাদিক পেটালে কেউ গ্রেপ্তার হবে না, কোনো সভ্য দেশে এমনটি হতে পারে না।’
এ সময় নির্বাচনের দিন নানা অনিয়ম, কারচুপি, পুলিশি হয়রানির অভিযোগের পক্ষে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন উত্তরের এই মেয়রপ্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বক্তব্যের শুরুতে ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ব্যর্থতা স্বীকার করেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, কমিশন মনগড়া ও বানোয়াট ফলাফল ঘোষণা করে। এ নির্বাচনে ভোটারদের সঙ্গে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের পালস বুঝতে পেরে ক্ষমতাসীনরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, কিন্তু তা না করে ভোট কারচুপি করেছে, এতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আমরা হতাশ হয়েছি।’
ইভিএম প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, অনেক মেশিনে ধানের শীষ প্রতীকই রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন দক্ষিণের এই প্রার্থী।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।