জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে যা ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। তিনি বলেন বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি না করে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে পারে সরকার।
আজ দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ভর্তুকি কমাতেই বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দেশের হতদরিদ্র মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করেইতো সরকার ভর্তুকি দেয়। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সাথে উৎপাদন, পরিবহন ও মার্কেটিং এর খরচ বৃদ্ধি পায়। এতে পণ্যমূল্য বেড়ে যাবে অনেক। তাই বিদ্যুৎ ও পানির দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
এ প্রসঙ্গে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, এমনিতেই দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা, তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ঠিক হবে না।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী রুপে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ঘনবসতি এবং দরিদ্র দেশ হিসেবে সরকারকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জাতীয় পার্টি সরকারকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি দিয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।
জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইব্রাহীম খান জুয়েল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, আলমগীর সিরকার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শাহ-ই-আলম, ডক্টর নুরুল আজহার শামীম, যুগ্মমহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. নোমান মিয়া, আবদুল হামিদ ভাসানী, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহাজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, ইফতেখার আহসান হাসান, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদ আলম, আবু সাদেক সরদার বাদল, কিশোর কুমার, ফরিদ আলম, কামরুল ইসলাম।