রূঢ় ও অশালীন আচরণ করায় পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নানকে প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান অত্যন্ত রূঢ় ও অশালীন আচরণ করেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দুদকের দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের নেওয়া জামিনের শেষ দিনে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন। পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই আদেশের মাত্র চার ঘণ্টা পরই জামিন পান এই দম্পতি।
ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের আদালতে জামিন বাতিলের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে গতকালই বিকেল ৪টায় বিচারক তাদের দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। এর পরপরই বিচারক আব্দুল মান্নানকে প্রত্যাহার করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ উপজেলা) আসনের সাবেক এমপি এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে কেবল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে।
তিনটি মামলারই বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর। এ মামলায় গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন।