ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের না জানাটা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, তার জামিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জি কে শামীমের জামিনের বিষয়ে জানতে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি এই বিষয়টি জানতেন না। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খানও জানিয়েছেন, তিনিও জানতেন না।’
অস্ত্র আইনের ধারা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের মামলায় আসামির জামিনের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে। এটি আইনেই আছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ যদি উপস্থিত না থাকে তাহলে কোন প্রক্রিয়ায় জি কে শামীমের জামিন হলো, তা খতিয়ে দেখব। এভাবে জামিন সত্যি দুঃখজনক।’
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘আদালতে যদি রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থিত থাকে তাহলে কেন তারা বিরোধিতা করেনি সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এটি রাষ্ট্রপক্ষের ব্যর্থতা কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
উল্লেখ্য, ধারাবাহিক ক্যাসিনো অভিযানের সময় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়।
গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ওই দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম, যিনি জি কে শামীম নামে পরিচিত। এই জামিনের বিষয়টি গতকাল জানাজানি হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ছয় মাসের জামিন দেন।
আজ রোববার বিচারপতি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির পর ওই জামিন বাতিল করা হয়।