ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হৃদয়ের সব ভালোবাসা উজাড় করে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আজ থেকে শুরু হবে নবযাত্রা। আগামীতে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী ও স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে।
সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষ উদযাপন শুরু হবে ১৭ মার্চ থেকে। জাঁকালো আয়োজনে এ অনুষ্ঠান করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বার্থে তা সীমিত করেছে সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশটাকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলছেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল যে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, তা বছরব্যাপী চলবে। সারাদেশে একযোগে কর্মসূচি পালিত হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করব। জেলা পর্যায়ের দু’জন ত্যাগী নেতাকে সম্মাননা জানানো হবে। এছাড়া সারাবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলবে। মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে জাতীয় কমিটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা কর্মসূচি পালন করব।
দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, কালকের কর্মসূচিতে গরিবদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, মিষ্টি বিতরণ, বিশেষ করে গরিব শিশুদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।