মুজিববর্ষে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি দেবে রূপালী ব্যাংক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ১০০ জন অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি দেবে রূপালী ব্যাংক। একইসঙ্গে সুদমুক্ত ঋণ বিতরণও করছে রাষ্ট্র্রীয় মালিকাধীন এ ব্যাংকটি।

বাড়ি নির্মাণ করে দিতে রূপালী ব্যাংক দেশের ১০০টি উপজেলার ১০০ জন দুস্থ মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা তৈরি করেছে। তার আগে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তারা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ জন্য রূপালী ব্যাংক ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। এক বছরের মধ্যে এসব বাড়ি পর্যায়ক্রমে নির্মাণ করে দেবে রূপালী ব্যাংক। নির্মাণ কাজ শুরু হবে চলতি মাসের শেষের দিকে।

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাআল মাসুদ বলেন, ‘যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নাম রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। সেই মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বঙ্গবন্ধুর নামকরণ করা রূপালী ব্যাংকও সেই উদ্যোগের সঙ্গী হয়েছে। এক বছরের মধ্যে দেশের ১০০টি উপজেলার ১০০ জন অসহায় ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে পরিবার নিয়ে বসবাস করার উপযোগী একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও রূপালী ব্যাংক মুজিব শতবর্ষে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির অংশ সারা দেশে ১০০টি নতুন শাখা, ১০০ উপশাখা ও ১০০ অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) স্থাপন করবে।’

‘মুজিববর্ষে শুভদিন শূন্য সুদে কৃষিঋণ’ স্লোগানে সুদমুক্ত কৃষিঋণ বিতরণ শুরু করেছে রূপালী ব্যাংক। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে টমেটো চাষিদের মধ্যে ‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচির আওতায় এই ঋণ বিতরণ শুরু করে ব্যাংকটি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে নাটোর জেলার ৫০০ টমেটো চাষিকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষিঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১০ কোটি টাকা সুদমুক্ত বিতরণ করবে রূপালী ব্যাংক। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ এবং রবি মৌসুমে ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে।

রবি মৌসুমের ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালীনের ঋণ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। জামানতবিহীন এই ঋণ গ্রহণে আবেদনকারী স্বামী-স্ত্রী বা গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি জামিনদার হিসেবে থাকবেন