করোনার কারণে চালের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী

দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ অবস্থায় কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানো হলে দায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

চালের দাম না বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েক দিনে যা বেড়েছে তা কমিয়ে আগের দামে নিয়ে আসার জন্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের দ্বিতীয় দিনে বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৭ দিনও যদি পরিবহন ধর্মঘট থাকে, ১০ দিনও যদি থাকে, বাবুবাজারে যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র দাম বাড়ার কারণ নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না গ্যারান্টি দিলাম।’

বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেলে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জেনেছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে চালের মজুদের কোনো ঘাটতি নেই। মিল মালিক ও বাজার মনিটর করে দেখা গেছে, মজুদের কোনো ঘাটতি নেই, আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই, রফতানি করার জন্য প্রস্তুত আছি।’

‘চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, কেউ যদি বৃদ্ধির চেষ্টা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি ভোক্তা অধিকারে চিঠি দিয়েছি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যদি কেউ চালের দাম বাড়াতে চায়, তাহলে কোনোক্রমেই সহ্য করা হবে না, প্রশ্রয় দেয়া হবে না,’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মন্ত্রী জানান, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা। খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেব না। এটি চলতে দেওয়া হবে না। পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ নিতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাধন চন্দ্র বলেন, ‘গত ৭ দিনে মিনিকেট প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাড়ানো উচিত হয়নি। খুচরা বাজারে এটি হচ্ছে, চেষ্টা করব দাম যেন আর না বাড়ে।’

তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন মনে করলে মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। সময় হলে জানিয়ে দেব আর কী কী ব্যবস্থা নেব। গতবারের চেয়ে ধানের দাম কম রয়েছে তাই চালের দামও কম হতে হবে-এটাই কথা। কৃষক দাম পাবে না, মধ্যস্বত্বভোগী বেনিফিট বেশি নেবে, এটা চলতে দেয়া যাবে না।’