তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার কোনো লুকোচুরি করছে না। অনেকেই বলছে- করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার লুকোচুরি করছে। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। বরং সরকার প্রতিদিন আপডেট জানাতে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সকলকে তথ্য জানাচ্ছে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অনেকেই মন্তব্য করছেন যে করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার লুকোচুরি করছে। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। বরং সরকার প্রতিদিন আপডেট জানাতে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সবাইকে তথ্য জানাচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে এটি যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেদিক বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের সংকটময় সময়ে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বরং বিষদগার করছে। কিছু লিফলেট ছাপিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা চাইব এমন সময় বিষদগারের রাজনীতি না করে দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কাজের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা অনেক এগিয়ে। হিসাব করলে দেখা যাবে পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ নারীরা করেন। কর্মজীবী নারীরা একদিকে যেমন অফিস সামলান তেমনি অন্যদিকে ঘরে ফিরে সংসারও সামলান। পৃথিবীর উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আর পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যায় নারী হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে পৃথিবীর উন্নয়ন সম্ভব নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, সাম্যতা আনার জন্য রাষ্ট্র ভাষাগত দিক থেকেও বিভিন্ন পরিবর্তন এনেছে। এখন নারীদের নামেও জনাব ব্যবহার করা যায়, যা আগে ছিল না। সভানেত্রীর পরিবর্তে লেখা হয় সভাপতিও। সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় আমাদের দেশেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও এখন নারী। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টে নারী আসন তৈরি করেছিলেন। তার হাত ধরে নারীর যে অগ্রগতি শুরু হয়েছিল, তার রূপ বাস্তবায়ন পূর্ণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নারীর অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুসলিম দেশগগুলোর মধ্যে নারীর অগ্রগতির যে সূচক, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এছাড়া সার্ববিকভাবেও নারীর অগ্রগতির সূচকে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের দেশের যেকোনো নির্বাচনেই এখন এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করা হয় নারীদের জন্য। ফলে এখন ইউনিয়ন পর্যায়েও কাউন্সিলর পদে বা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারেন নারীরা। আর এভাবেই অগ্রগতির দিকে নারীদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
এর আগে আয়োজনের শুরুতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক। আয়োজনে সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।