বাঙালিকে জাতি হিসেবে করোভাইরাসের চেয়েও শক্তিশালী বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর তাই আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা এমন কোনো শত্রুশক্তি নয় যে তাকে পরাজিত করা যাবে না। আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী। কাজেই ভয়কে জয় করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা— তিনি কিন্তু এই আতঙ্কের মধ্যেও সকালে ধানমন্ডিতে ভোট দিতে এসেছেন।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী উপকরণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বাঙালি জাতিকে করোনাভাইরাসের চেয়েও শক্তিশালী মনে করলেও এই ভাইরাসকে ‘ভয়ংকর শত্রু’ বলেও মনে করেন কাদের। তিনি বলেন, করোনা আমাদের ভয়ংকর এক শত্রু। আমাদের সম্মিলিত, সমন্বিত ও সতর্ক উদ্যোগের মাধ্যমে এই শত্রুকে পরাজিত করতে হবে। আতঙ্কিত হলে সমস্যার সমাধান হবে না, গুজবে কান দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যবিধি সতর্কভাবে মেনে চলতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের সবার কাজ স্বাস্থ্যবিধি সতর্কভাবে মেনে চলা।
করোনা পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে জানিয়ে দলটির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আমাদের কর্মসূচি সীমিত করেছি। অনেক কর্মসূচি স্থগিত করেছি। কিন্তু জীবনের সবকিছু তো থেমে থাকবে না। জীবন থাকবে, কর্ম থাকবে, মানুষকে বেঁচে থাকতে হবে। এর জন্য যা যা করণীয়, তা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শত্রুকেও মোকাবিলা করতে হবে।
চিকিৎসক ও নার্সরা নিরাপত্তা সামগ্রী পাচ্ছেন না— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সরকারের এই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যখন ডেঙ্গু হয়েছিল, আমরা দেখেছি তারা অনেক সাহসী। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। নিরাপত্তা সামগ্রী যথাযথভাবে সরবরাহ করলে তারা দুঃসাধ্য সাধন করতে পারেন— এর প্রমাণ তারা অতীতে রেখেছেন। আশা করব, করোনা প্রতিরোধেও আমাদের ডাক্তাররা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিটি নির্বাচন বা অনান্য নির্বাচন পেছানোর সুযোগ আছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমি আগেই বলেছি। নির্বাচন কমিশনে যারা আছেন, তারাও তো মানুষ। তারা কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা না। বিষয়টি তাদের এখতিয়ার। তারা স্বাধীন। তারা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আশা করব, তারা জনস্বার্থ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে সরকারের বা আওয়ামী লীগের কিছু বলার নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।