সারা দেশের হাসপাতাল থেকে হাজার হাজার স্যাম্পল আসলেও মাত্র ৭০-৮০টি টেস্ট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেছেন, ‘প্রতিটি দেশ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হতে পরিত্রাণ পেতে অন্য দেশ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ভয়ংকর এক কঠিন পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছি আমরাসহ বিশ্ববাসী। সরকারি হিসাবে, গত বুধবার পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত আর পাঁচজনের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়েছে।’
কেভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য এদেশে ন্যুনতম প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট, চিকিৎসকদের পিপিই কিংবা হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ’র প্রচণ্ড অভাব বলে জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সারা দেশের হাসপাতাল থেকে হাজার হাজার স্যাম্পল আসছে অথচ টেস্ট করতে পারছে মাত্র ৭০-৮০টি।’
এই অপ্রস্তুত দৃশ্যপটের মধ্যে সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতি ধেয়ে আসছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গোটা দেশবাসী শঙ্কিত-আতঙ্কিত। এই অবস্থার দ্রুত অবসান জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, এই দুর্যোগময় সময়ে, মহাক্রান্তিকালে দেশবাসী, সরকার, সাধারণ জনগণ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবিলম্বে দেশে ‘চিকিৎসা জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি যে আহবান জানিয়েছেন। তা কার্যকর করার জন্য দাবি জানান তিনি।
একই সঙ্গে ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কাজকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা এবং বিশেষ বোনাস প্রদান, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল সরঞ্জাম, পিপিই, করোনা টেস্ট কিট সরবরাহ করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রবীণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষি শ্রমিক, গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আর্থিক সহায়তার উদ্দেশে দ্রুততার সঙ্গে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানান রিজভী। সেইসঙ্গে দেশে কমপক্ষে আগামী ছয় মাসের জন্য জাতীয় কিংবা স্থানীয় সকল নির্বাচন স্থগিত করারও দাবি জানান তিনি।