নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের সক্রমণে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব।এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই ১০দিনের সাধারণ ছুটি দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ঘর থেকে মানুষকে বের হতে নিষেধ করেছে সরকার।মহামারি ঠেকাতে্ মানুষ মেনেও নিয়েছেন এই কড়াকড়ি। কিন্তু তাতে বিপদে পড়তে হচ্ছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের। কাজ নেই, তাই টাকাও নেই। পেটের ক্ষুধা মিটবে কী করে?
এমন বাস্তবতায় সমাজের এই অসহায় মানুষদের সেবায় এগিয়ে এসেছেন অনেক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় করোনায় বিপদে পড়া্ মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরাও নিজেদের দায়িত্ব থেকে এগিয়ে আসছেন মানবতার সেবায়।দুর্যোগকালীন এই সময়ে সেই তাগিদ থেকেই নিজের এলাকা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩ (ঢাকা) এর সংসদ সদস্য শবনম জাহান শীলা।
সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় এবং বস্তি এলাকায় খাবার সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে। চাল-ডাল, আটা, আলু, পেয়াজ, তেলে্র মত ভোগ্যপণ্যগুলো প্যাকেট করে দেয়া হচ্ছে বলে জানান শবনম জাহান। তিনি বলেন, এতে করে একটি পরিবার অন্তত এক সপ্তাহ খেতে পারবে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তার এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
“করোনা যাতে সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য মানুষকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ঘরে যদি খাবার না থাকে তাহলে তারা ঘরে কীভাবে থাকবে। খাবার যোগাড় করতে সে বের হবেই। আর তা ডেকে আনতে পারে বিপদ। তাই তাদের খাবার নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে” বলেন ঢাকা উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান এমপি।ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিনি এখন পর্যন্ত একশো পরিবারকে সহায়তা দিয়েছেন উল্লেখ করে শবনম জাহান বলেন, এই বিপদে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত। তবে এই সহায়তা বিতরণের সময় যাতে মানুষে মানুষে দূরত্ব থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে।
ব্যক্তিগত তহবিল ছাড়াও সরকারি তহবিল থেকেও দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তার নির্বাচনী এলাকা গুলশানে। রোববার ভাষাণটেক স্কুল এন্ড কলেজে অন্তত ৫শ’ পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন সংরক্ষিত আসনের এই সংসদ সদস্য।
ঢাকায় লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে সবারই উদ্বেগ বাড়ছে।সামনের দিনে পরিস্থিতি অবনতি হলে এই মানুষগুলো যাতে বিপদে না পড়ে এবং ভাইরাসের বাহক হয়ে না যায়, সেদিকে সবারই নজর রাখা উচিত বলে মনে করেন শবনম জাহান শীলা।