ত্রাণ দিতে গিয়ে জমায়েত না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে আমরা যেন অধিকতর জমায়েত না হই। বিপদজনক পথ বেছে না নেই। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে আমার আহ্বান, সুদিনের প্রত্যাশায় আজকের সাময়িক কষ্ট-ত্যাগ মেনে চলতে হবে। দেশবাসী যেনও মেনে চলে, তাদের নিজেদের ভালোর জন্য। সুদিনের আশায় আমরা সাময়িক ত্যাগ স্বীকার করব। আমরা অনেকের তুলনায় এখনও ভালো আছি। হয়তো অচিরেই আমাদের দেশের অবস্থা আরো ভালো হবে।
আজ শনিবার (০৪ এপ্রিল) তার সরকারি বাসভবনে এ সব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাবিশ্বে করনো পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এযাবৎ বিশ্বে ১১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে। এযাবৎ ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের দেশ তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছে। ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের মতো দেশে যে ভয়াবহ অবস্থা সেই তুলনায় আল্লাহর রহমতে আমরা অনেক ভালো আছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা মেনে আমরা সবাই এক যোগে সঙ্গবদ্ধভাবে এই অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করে চলছি। ঘরে আমরা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে সুরক্ষিত থাকবো, বাইরে অদৃশ্য শক্তি করোনা এই অদৃশ্য শত্রুকে ঘরে ঘরে মোকাবিলা করতে হবে। ঘরে ঘরে সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্গ গড়ে তুলতে। কোনো অবস্থাতেই শঙ্কিত হওয়া চলবে না। আমাদের সকলকে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণ, যাত্রীসাধারণ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, ইতিপূর্বে ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল। আপনারা জানেন, সরকার আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ইতিমধ্যেই বর্ধিত করেছে। এর ধারাবাহিকতায় জনস্বার্থ বিবেচনা করে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত যানবাহনও বন্ধ রাখার অনুরোধ করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে যানবাহনের ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স উত্তীর্ণ হলে জরিমানা ছাড়াই নির্ধারিত ফি ও কর দিয়ে ৩১ জুন পর্যন্ত ফিটনেস নবায়ন ও লাইসেন্স আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সকলকে এসক নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান করেন তিনি।