করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলা ও এ সংকটে সামনের অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে আবার চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার পর নির্ধারিত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলা ও সামনের অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী যে আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা দেশের সব শ্রেণির মানুষকে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ঘোষিত প্যাকেজ দেশের কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, কৃষক, শ্রমিকসহ দেশের সব শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবে। এ ছাড়া মিডিয়া, শিল্প কারখানাও এর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। কেননা ঘোষিত প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের সব খাতকেই সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে যে দুর্যোগ চলছে তা কেটে যাবে এবং দুর্যোগ পরবর্তী অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে দেশের অর্থনীতি আবার গতিশীল অবস্থায় ফিরে আসবে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন সময় নানা দুর্যোগ নেমে এসেছে। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক খাতে বিপর্যয় দেখা দেয়। যদিও সে বিপর্যয় গোটা বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেনি। কিন্তু এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে আক্রান্ত করেছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ই তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তখনও আমরা দেখেছিলাম তিনি (শেখ হাসিনা) প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর হাত ধরেই আমরা এই অঞ্চলের মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে পর্যন্ত আরেকটি দুর্যোগ এসে বিশ্ব অর্থনীতিকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়। পৃথিবীর একটি বড় ব্যাংক পর্যন্ত তখন দেউলিয়া হয়ে যায়। ঠিক এমন সময় আজকের প্রধানমন্ত্রীই দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সারা বিশ্বে অর্থনীতিকে যেভাবে গুছিয়ে আনার চেষ্টা চলছিল। শেখ হাসিনাও সেটি অনুসরণ করে আবারো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, শেখ হাসিনার সেদিনের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমেই ২০১০ সাল থেকে তাঁর নেতৃত্ব সারা বিশ্বে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। ফলে আজ কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন তার সুফল দেশের সব শ্রেণির মানুষ পাবে।