ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের সপ্তম আসরের জন্য চলচ্চিত্রজমা শুরু

৩ এপ্রিল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব (ডিআইএমএফএফ)এর সপ্তমআসরের জন্য চলচ্চিত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে।

১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।সেইদিনকে স্মরণ করে ২০১২ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন করা হয়। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করেইপ্রতিবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের নতুন আসর শুরু হয়।

স্ক্রিনিং,কম্পিটিশন এবং ওয়ান মিনিট এই তিনটি ক্যাটাগরি নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ডিআইএমএফএফ এর চলচ্চিত্র জমা দেওয়ার দিন। ‘স্ক্রিনিং’ বিভাগের জন্য যে কেউ যে কোনো প্রান্ত থেকে চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন। তবে প্রথমবারের মতো নতুনত্বের আকর্ষণে থাকছে স্ক্রিনিং বিভাগে ‘ডিআইএমএফএফ বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ ক্যাটাগরি। ‘কম্পিটিশন’ বিভাগের জন্য শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন; এই বিভাগ থেকে সেরা চলচ্চিত্রটি পাবে ‘সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান মিনিট’ বিভাগের জন্য চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন এবং এই বিভাগের সেরা চলচ্চিত্রটি পাবে ‘ইউল্যাব ইয়াং ফিল্ম মেকার অ্যাওয়ার্ড’।স্ক্রিনিং বিভাগের চলচ্চিত্র যেকোনো দৈর্ঘ্যের হতে পারবে, কম্পিটিশন বিভাগের জন্য চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট এবং ওয়ান মিনিট বিভাগের জন্য ১ মিনিট দৈর্ঘ্যেরটাইটেল ও ক্রেডিট লাইন মিলিয়ে হতে হবে। প্রত্যেক প্রতিযোগী সর্বোচ্চ ২টি চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রের সাথে ইংরেজি সাব-টাইটেল যুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক।

নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্বে বিরাজ করছে এক আতংক, নিজেকে রক্ষা করতে মানুষ গৃহবন্দী হয়ে লড়ছে মহামারী করোনাভাইরাসের সাথে। ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের উপদেষ্টা ড. কাবিল খানবলেছেন, “২০২১ সালের সপ্তম আসরের জন্য চলচ্চিত্র তৈরি করা এক ধরণের চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে গত আসরে যতগুলো মোবাইল চলচ্চিত্রজমা পড়েছে, তাঁর মধ্যে ঘরে বসেই পুরো চলচ্চিত্র বানানো হয়েছে-এমনঅনেক চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল। আমরা বরাবরই তরুন প্রজম্মকে ‘জিরোবাজেট’চলচ্চিত্র তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে থাকি।তবে এবার হয়তোবা অনেক নির্মাতারকাছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে ‘জিরো বাজেট চ্যালেঞ্জ’, অর্থাৎ কোন খরচছাড়াই এমন পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করেই নিজের ঘর কিংবা আশেপাশেই দৃশ্যায়ন করে একটি মোবাইল চলচ্চিত্র তৈরি করা”।

নতুন প্রজন্ম,নতুন প্রযুক্তি ও নতুন যোগাযোগ এই শিরোনামে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। এর আয়োজনে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর শিক্ষানবিশ কার্যক্রম ‘সিনেমাস্কোপ’। মূলতঃ মুঠোফোনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করার জন্যই ‘সিনেমাস্কোপের’ এই আয়োজন।

ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের সপ্তম আসর বসবে ২০২১ সালের২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি।

আরো বিস্তারিত জানা যাবে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইটট থেকে (www.dimff.net) ।