কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজশাহী জেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক হামিদুল হক মঙ্গলবার সকালে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষের রাজশাহী আসার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসা দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাই সিভিল সার্জনের সুপারিশ এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সকল সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য রাজশাহী জেলাকে লকডাউন করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে।
লকডাউন চলাকালে রাজশাহীর সঙ্গে অন্য জেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার সব প্রকার রাস্তাঘাট বা অন্য কোনো পথে কেউ বের হতে পারবেন না। একইভাবে জেলার বাইরে থেকেও কেউ রাজশাহী প্রবেশ করতে পারবেন না। সকল ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য-খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে রাজশাহীতে অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়। রাজশাহী জেলায় প্রবেশ এবং বের হওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় সেদিন থেকেই। আর আগে থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে রাজশাহী আসছিলেন মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আসা এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয় গত রবিবার। আর নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলার বাগমারায় আসা আরেক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয় সোমবার। পর দিন রাজশাহীকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হলো।