দেশে খাদ্য সহায়তার জন্য হটলাইন চালু করেছে সরকার। গত ১৩ এপ্রিল থেকে এ সেবা চালু করা হয়েছে। তবে প্রথম দিকে ত্রাণ সহায়তা চেয়ে তেমন ফোনকল না এলেও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে হটলাইনে কয়েকগুন চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ বিকেলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে কোভিড-১৯ ট্র্যাকার উদ্বোধন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের এক কোটি পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এর বাইরেও নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার আছেন যারা হয়তো আত্মসম্মানের কারণে কারও কাছে প্রকাশ্যে হাত পাততে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী সে কাজেই এই ৩৩৩ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন। এই হেল্পলাইনে (অর্থাৎ প্রথমে ৩৩৩ ফোন করে অপেক্ষা করার পর খাদ্য সহায়তার জন্য ২ চাপতে হবে) কেউ ফোন করলে আমাদের প্রশাসনিক প্রতিনিধি তাদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দিবে।
তবে গতকাল সোমবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বরাত দিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য ৩৩৩#২ ডায়াল করার কথা বলা হয়। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করেন এই নম্বরে ডায়াল করেও কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই অভিযোগের বিষয়টি যাচাই করতে ৩৩৩#২ বা ৩৩৩২ ডায়াল করেও কোনো ত্রাণ সহায়তার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি শুধু ৩৩৩ এ ফোন করে খাদ্য সহায়তার জন্য ২ চেপে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো প্রতিনিধিকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে এখন খাদ্য সহায়তার জন্য হটলাইনে ফোনকল বেড়েছে। আপাতত মাত্র ২০ জন প্রতিনিধি রয়েছে। তাই হটলাইনে ফোন করে অনেককে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত এজেন্টের সংখ্যা ১০০ জনে উন্নীত করতে। এ সেবা থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হন, সে লক্ষেই আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা খাদ্য সহায়তা বিষয়ক ৭০ হাজার কল রিসিভ করেছি। ইতিমধ্যে ফোনকল পেয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১০ হাজার জনকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হটলাইন চালু করার একটাই উদ্দেশ্য খাদ্য সহায়তা যেন দলীয় বিবেচনায় বিতরণ করা না হয়, কেউ যেন বাদ না পড়ে এবং অনিয়মের বিষয়ে তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।