বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, দেশ যখন মহামারিতে বিপর্যয়ে পড়ে তখন আওয়ামী লীগ আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যায়। তাদের ভাগ্য খুলে যায়। তিনি বলেন, জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ আত্মসাৎ করে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের পকেট ভারী করছে আর মানুষ না খেয়ে হাহাকার করছে। এভাবে দেশ চলতে পারেনা। আজকে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা নেই বলেই সরকার এসব অন্যায় অনিয়ম করতে পারছে।
শনিবার (২ মে) সকালে ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগে উত্তরখান থানায় ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ঘরের মধ্যে, খড়ের পালার মধ্যে চাল, খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান মেম্বার এবং আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মসাৎ করছে। প্রতিদিন সারাদেশে ত্রাণের চাল, ডাল, তেল ধরা পড়ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সমস্যা। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ধরনের একটা সত্য কথা বলাতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেক ডাক্তারদের বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ করোনায় বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির প্রশংসা করে রিজভী বলেন, সরকারের ত্রাণ বিএনপির নেতাকর্মীরা না পেয়েও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পকেটের টাকায় অসহায়, গরিব, দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিদিনই তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দিচ্ছে। ঢাকা-১৮ আসনে এসএম জাহাঙ্গীর প্রতিদিনই অসহায় মানুষদের সহায়তা করছে। তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বলা হচ্ছে মাস্ক বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে, চায়না (চীন) থেকে আনা হচ্ছে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এটি কেরানীগঞ্জে তৈরি করে চায়নার নাম দেয়া হচ্ছে। এই মাস্ক ত্রুটিযুক্ত। এসবের সঙ্গে সরকারের মন্ত্রীদের ছেলেরা, আত্মীয়-স্বজনরা জড়িত। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটা জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে এ রকম হতো না। ভোটারবিহীন সরকার অগণতান্ত্রিক সরকার থাকলে এসব অন্যায় করা সম্ভব। গণবিরোধী কাজ করা সম্ভব।
খুলনা ও নেত্রকোনায় সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা টিসিবির কাছ থেকে জোর করে নিয়ে তারা কালোবাজারে বিক্রি করছে। টাকা আত্মসাৎ করছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরখান থানা বিএনপির সভাপতি আহসান উদ্দিন আহসান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বেপারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোতালেব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ নুরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুকুল সরকার, উত্তরখান থানা যুবদলের সভাপতি রোস্তম আলী, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, উত্তরখান থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনোয়ার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আশাদুল হক শুভ, উত্তরখান থানা শ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, উত্তরখান থানা জাসাসের সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মারুফ, উত্তরখান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল রশীদ, বিএনপি নেতা সালেহ মেম্বার, হিরা মেম্বার ,আতিক মেম্বার প্রমুখ।