অসহায় মানুষের পাশে বিএনপি নেতা সাজু

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারিতে ঘরবন্দি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি নেতা সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু। প্রতিদিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা-১৪ আসনের কর্মহীন মানুষদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী।

দারুস সালাম থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক সাজু একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৪ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। মিরপুরের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র এস এ খালেকের সন্তান সাজু বুধবার (৬ মে) নিজ এলাকার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

যতদিন দেশে এমন পরিস্থিতি থাকবে, ততদিন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানান বিএনপির এই নেতা।

গত দুইদিনে দারুস সালাম, শাহ আলী ও মিরপুর থানার গাবতলী ৯ নম্বর ওয়ার্ড, লালকুঠি মাজার রোড ১০ নম্বর ওয়ার্ড, মিরপুর শাহ আলী মাজার শরীফ সংলগ্ন রাস্তা, উত্তর বিশিল, মনি সিনেমার মোড়, মিরপুর সেকশন ২ এবং ৬ এলাকায় সহস্রাধিক মানুষকে ব্যক্তিগত অর্থে এস এ সিদ্দিক সাজুর পক্ষ থেকে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যা চলমান থাকবে বলে জানান বৃহত্তর মিরপুরে পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র এস এ খালেকের কনিষ্ঠ ছেলে সাজু।

একটি বস্তায় তিন কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, এক লিটার তেল, এক কেজি লবণ ও একটি করে সাবান দেওয়া হয়।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, বাংলাদেশের মানুষ এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনও পড়েনি। এ কারণে এখন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সময় নয়, সকলের সাধ্যমতো অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ মুহূর্তে সচ্ছল মানুষদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। সকলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ থেকে করোনা মহামারি নির্মূল করা সম্ভব।’

পলিটিক্স নিউজকে বিএনপি নেতা সাজু জানান, সাধ্যমতো এলাকার দিনমজুর, ছিন্নমূল মানুষদের খাবার জোগানের এই ধারা তারা অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, এখন সময় সম্মিলিতভাবে মানবতার জন্য কাজ করা। সাধ্য থাকা পর্যন্ত এই কাজ তিনি করে যাবেন। সমাজের সচ্ছল সবাইকে এভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সাজু।

তিনি বলেন, ‘ঘরবন্দি মানুষদের প্রতিদিন খেতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হচ্ছে তা দিয়ে দিনের পর দিন চলা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি যতদিন থাকবে ততদিন এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’