প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রচুর খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। অন্তত খাদ্যের কষ্ট হবে না আল্লাহর রহমতে। সেটা আমরা ব্যবস্থা করতে পারব। কিছু নগদ সাহায্য দেয়া একান্ত অপরিহার্য। আমরা সেটুকু ব্যবস্থা করছি।
যারা বেকার আছেন তাদের বসে না থেকে কিছু কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তি পাওয়া যাবে এবং দেশ ও পরিবারের উপকার হবে বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।
করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়াদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ধান কাটায় কৃষকদের সাহায্য করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ নেতারা ধান কাটায় সাহায্য করায় আজ সারা বাংলাদেশের কৃষকের গোলাভরা ধান।
‘সেইসঙ্গে যারা এখন বেকার আছেন, তারা কিছু কিছু কাজ করতে পারেন। যেখানে জমিজমা আছে একটা কিছু চাষাবাদ করা…একটু কাজ করা। নিজেও উদ্যোক্তা হয়ে একটু কাজ করেন। নিজে আর্থিকভাবে যেমন আপনারা দাঁড়াতে পারেন বিভিন্ন কাজ করে…(এসব কাজ) দেশে সহায়তা হতে পারে’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘একেবারে বেকার বসে না থেকে নিজেরা কিছু কিছু কাজ করলে, সেটা শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে শক্তি পাবেন। আর দেশের উপকার হবে, পরিবারের উপকার হবে। সেটা আপনারা অন্তত করতে পারবেন। সেদিকে আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফসল তোলার সময় আমাদের যে সমস্যাটা ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থাটা বন্ধ। সাধারণতা আমাদের এক অঞ্চলের ধান কাটতে অন্য অঞ্চল থেকে লোক আসে। তারা ধান কাটে। ধান কেটে টাকা নিয়ে যায়। কিন্তু এবার এটা সীমিত ছিল। তারপর আমরা যখন উদ্যোগ নিলাম, আমাদের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিল। কিন্তু সেখানেও লোকবলের অভাব ছিল। আমি প্রথমে আমাদের ছাত্রলীগকে আহ্বান জানালাম। যে যেখানে আছি, তাদের নিজের এলাকা-সব জায়গায় তাদের নামতে হবে এবং ধানকাটায় কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
‘মনে রাখতে হবে ধান থেকে চাল হয়। আর এ চাল থেকে কিন্তু ভাত হয়। মূল খাদ্য। কাজেই সেই কাজ করতে লজ্জার কিছু নেই, তা গর্বের বিষয়। আমরা যেটা খেয়ে জীবন বাঁচাই, সেই জায়গায় শ্রম দেব না-এই দৈন্যতা যেন কারও মনে না থাকে’-যোগ করেন সরকারপ্রধান।
এ সময় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সত্যি আমি খুবই আনন্দিত এবং সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। যে ছাত্রলীগ আমরা দেখেছি…আমাদের কৃষক লীগ সকলে নেমে গেছে (ধান কাটতে)। আমাদের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ যেখানে ছিল প্রত্যেকে নেমে পড়েছে এবং ধান কাটায় সাহায্য করেছে। আজকে আমাদের সারা বাংলাদেশের কৃষকের গোলাভরা ধান।’