বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে গিয়ে মনে হয় সরকার পথ হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে শুক্রবার আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এটি দেশের স্বার্থেই গুরুত্বসহকারে ভাবা উচিত।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকার নিজেরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, অপরদিকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তারা নিজেদের হীন দলীয় স্বার্থে সেটি গ্রহণ করার মতো মানসিকতাও তাদের নেই। প্রতিটি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বীকৃত কোনো মেডিসিন আবিষ্কার হয়নি। এ অবস্থায় সব দেশই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রতিদিন বেশিসংখ্যক মানুষকে টেস্টের আওতায় এনে করোনা উপসর্গ থাকলে আগেভাগেই আইসোলেশনে নেওয়া কিংবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণকেই অন্যতম সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে ঠিক উল্টো চিত্র।
তিনি বলেন, দেশের অসংখ্য মানুষ অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতি উপেক্ষা করে ক্ষুধার যন্ত্রণায় এক মুঠো খাবারের দাবিতে অসহায় মানুষ নেমে আসছে রাজপথে। বাড়ছে বুভুক্ষ মানুষের হাহাকার। দেশে চলছে নিরব দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতেও সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ত্রাণের চাল চুরি, নানা কৌশলে অসহায় মানুষদের জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকা আত্মসাৎ, সরকারিভাবে গরিব কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য করা তালিকাতেও চলছে জালিয়াতি।
তিনি আরো বলেন, দলের নেতাকর্মীদের প্রশংসা করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, সারা দেশে অনেক অসহায় গরিব কৃষক বর্গাচাষিদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রদল, যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের মতো পেশাজীবী সংগঠনগুলোও হাসপাতালগুলোতে পিপিই, সার্জিক্যাল মাস্ক, তৈরি খাবার সরবরাহ, অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া, হাত ধোয়ার জন্য বিভিন্নস্থানে বেসিন স্থাপনসহ সম্ভব সবধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানান তিনি।