দেশব্যাপী করোনার এই দুর্যোগে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক কর্মক্ষম ব্যক্তি কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছেন, অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে এই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কানতারা খান। গোপালগঞ্জের সহস্রাধিক কর্মহীন পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী, নগদ অর্থ সহায়তা, কাপড় ও ঈদ উপহার বিতরণ করে আসছেন তিনি। গত মার্চ থেকে শুরু করে আজ অবধি চলমান রয়েছে তার এ কার্যক্রম।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য কানতারা খান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা।অস্ট্রেলিয়া থেকে বিজনেস ‘ল এবং বিজনেস কমিউনিকেশনে অনার্স এবং লন্ডন থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে পেশাগত জীবনে কানতারা খান নয় বছর যাবত ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন ।
করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে গেলে কানতারা খান নিজে ও সেচ্ছাসেবী টিমের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার খান্দারপাড়, বেজড়া, বহুগ্রাম, গোবিন্দপুর, পশারগতি, দিগনগর, রাঘদী, গোহালা, জলিরপার, ননীক্ষির, কাশালিয়া, উজানী, বাশবাড়ীয়া, মহারাজপুর, মোচনা, বাটিকমারি, ভাবড়াশুর এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও প্রয়োজন অনুসারে নানা রকম সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কাশিয়ানী বেদেপল্লীতে ৩০ পরিবারের দেড় শতাধিক ব্যক্তি, রাজপাট হাইশুর বৃদ্ধাশ্রমের সকল বাসিন্দা, গোবিন্দপুর স্কুলের ১৪৫ জন শিক্ষার্থী, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে খাদ্য সহায়তা, কাপড় ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন এবং অন্যান্য এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী, কাপড় ও ঈদ উপহার বিতরণ করছেন।
করোনায় লকডাউন থাকা রোজগার বন্ধ হওয়া বিপাকে পড়া অনেক দরিদ্র পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে এবং রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে তার এই কার্যক্রম।
নিজ কর্মগুণে অনেক আগেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। এলাকায় রয়েছে তার যথেষ্ট কদর। কোনও সমস্যা নিয়ে কেউ তার কাছে গেলে সেটি তিনি গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করেছেন। এমন অনেক রেকর্ড তার রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে কানতারা খান বলেন “মানুষের পাশে থাকার স্বপ্ন আমার ছোটবেলা থেকেই। আমি দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের কাজ করে থাকি, নিজের কর্তব্য মনে করি। করোনা দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। করোনা মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের পাশে থাকতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমাকে ঋণী করেছে। মানুষের ভালোবাসার জন্যই আমি সব সময় তাদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।”