জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন ব্যর্থ সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শুধু নিজেদের নেতাকর্মী ও শাসকগোষ্ঠীর পকেট ভারী করা, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করাই এই সরকারের মূল লক্ষ্য।
বুধবার (৩ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। সামাজিক সংস্থা জাসাসের উদ্যোগে এ খাদ্য বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, আজকে যারা পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। অত্যাচার করছে তারা বাংলাদেশ থেকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে পালিয়ে গেছে। একটি ছেলে সরকারের সমালোচনা করে পোষ্ট দিলে তাকে রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে আসে। আর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হত্যার হুমকি দেয়া আসামি শিকদার গ্রুপের দুইজন ছেলে কী করে চলে গেল। মেডিকেল ভিসা দিল কী করে। তাদের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ সেখানে কী করলো। পুলিশ কিছুই করেনি। তারমানে শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধীদের নানাভাবে রেহাই দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছেন। কারণ দুই ভাই চেয়েছে ব্যাংকের টাকা লুট করতে। এমডিরা রাজি হয়নি তাই তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলছে দেশে। অরাজকতা চলছে, মার্শাল ল চলছে। এভাবে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে, কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারপরও আমরা মানুষের দুঃসময়ে বসে নেই। আমাদের সাধ্যানুযায়ী অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, করোনার প্রকোপে সারাদেশে কর্মহীন মানুষের হাহাকার চলছে। আরেকদিকে সরকারের ত্রাণ লুটপাট চলছে। প্রধানমন্ত্রীর আড়াই হাজার টাকা থেকেও আত্মসাৎ করা হয়েছে। জনগণের সমর্থনহীন সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে, ত্রাণ আত্মসাৎ করছে। সরকারি হাসপাতালে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি রোগীর জায়গা দিতে পারছে না। ঢাকার বাইরে তো চিকিৎসা পাচ্ছে না। এর মধ্যে যদি কেউ করোনা ছাড়া হূদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয় তারা কোনো হাসপাতালে সিট পাচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে আগে করোনা টেস্ট করুন। করোনা টেস্ট করতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। অনেক জায়গায় চার দিনও লেগে যায়। তাই অনেক রোগী অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। এই ব্যর্থ সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি।
দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাসাসের সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ চৌধুরী, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, ডাক্তার আরিফ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ফেরদৌস ফকির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মাজহার আলী শিবা শানু, জাসাস নেতা খালেদ এনাম মুন্না, এনামুল হক জুয়েল, হারুন-অর-রশিদ, নবাব মাঝি, শরিফুল ইসলাম, মালেক রতন, ইব্রাহিম খলিলসহ জাসাসের নেতৃবৃন্দ।