বর্তমান সরকার জনগণের নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। নৌযানের যাত্রী, মালিক এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নৌ বিধি মেনে চলার জন্য মোবাইল কোর্ট যথাযথ তদারকি করছে। নৌ বিধি ভঙ্গের জন্য জরিমানাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন , পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া স্বত্বেও যাত্রী সাধারণ অনুসরণ না করায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরি চলাচল সম্ভব হয়নি। এমন হতে পারে ৬০ দিন বন্ধ থাকার কারণে মানুষ অনেক বেশী তাড়াহুড়ো করে যেতে চেয়েছে। এই শিমুলিয়া ঘাটের নিউজ সারা পৃথিবীতে ব্যাপক নিউজ হয়েছে। আমরা ফেরিগুলো চালু রেখেছিলাম বিশেষ বিশেষ কারণে। সরকারী কার্যক্রম, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা পণ্য, ত্রাণসহ জরুরী প্রয়োজনে চালু রাখা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছিল। আমাদের যারা ছিল তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের স্রোত আমাদের পক্ষে থামানো সম্ভব ছিল না। সেই সময় লক-ডাউনের মধ্যে এগুলো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই কিছুক্ষণ আগে লঞ্চ,স্প্রিডবোড ঘাটে আমি দেখলাম যাত্রীরা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে, কেউ মানার চেষ্টা করছে আবার কেউ মানছে না। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে মোবাইল কোর্টসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। আমরা একটি নীতিমালা করে দিয়েছি সে নীতিমালা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু শিমুলিয়া বা কাঁঠালবাড়ি ঘাট নয়, বাংলাদেশের যতগুলো ঘাট আছে সবখানে আমরা নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড সকলে কাজ করছে। যেখানে বিধি ভঙ্গ হচ্ছে সেখানে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমরা প্রথম দিকে চাঁদপুরের একজন কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করেছি। পটুয়াখীতে জরিমানা করা হয়েছে, লঞ্চ আটক করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ৫ হাজার টাকা ২ হাজার টাকা এতো কম জরিমানা করলে হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে একজন যাত্রী বা একজন নৌকা চালকের জন্য এটা অনেক বেশী। আমার জন্য হয়তো অনেক কম। আমাদেরকে সেটাও দেখতে হচ্ছে ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মার্চ থেকেই যাত্রীদের সচেতন করতে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও নৌপরিবহন অধিদফতর কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌযান চলাচলে বিআইডব্লিউটিএ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ কাজ করছে। করোনার এমন অবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্ব প্রস্তুত ছিল না। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে করোনা সংক্রমণ ব্যাধি দূর করতে পারব।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাবেক, প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) সাইদুর রহমান, নৌ পুলিশের এসপি খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান, নৌ পুলিশের এএসপি আনিসুর রহমান, লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন, মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শক সিরাজুল কবির, টিআই হিলাল উদ্দিন প্রমুখ।