সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ’র সহধর্মিণী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র মা বেগম সাহান আরা আবদুল্লাহ আর নেই। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৭জুন) রাত ১১:৩০ টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মরহুমার মৃত্যুর খবরে বিএসএমএমইউ’তে ছুটে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
সাহান আরার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করলে স্বজনেরা সাহান আরা আব্দুল্লাহকে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে, সাহান আরা আব্দুল্লাহর প্রথম জানাজা বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে অনুষ্ঠিত জানাজায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ছাড়াও কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতা ও ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তার জানাজায় বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীরাও উপস্থিত ছিলেন।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে যেসব ঘাতকেরা বুলেটে ঝাজরা করে হত্যা করেছিল ঠিক একইদিনে বুলেটে ঝাজরা করে ঘাতকরা তাকেও মেরেছিল। কিন্তু তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ।১৫ আগস্ট নির্মম বর্বরতার স্বাক্ষী হয়ে বেঁচে ছিলেন তিনি। বুলেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন সেদিন। পঁচাত্তরের ঘাতকেরা সেদিন মনে করেছিল তিনি মারা গেছেন। কিন্তু তিনি মারা যান নাই। যিনি ৭৫’এর ১৫ই আগস্ট সন্তান ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে সন্তান হারিয়ে বেঁচে ছিলেন । তিনি আর কেউ নয় বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা জননেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ত্রী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র মা সাহানারা বেগম। অবশেষে আজ তিনি মারা গেলেন।
সাহানারা বেগম মৃত্যুকালে স্বামী , তিন ছেলে ও এক কন্যাসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ।