করোনায় আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে চায় তার পরিবার।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নাসিম ভাইয়ের ছেলে তানভীর শাকিল জয় আমাকে সকালে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়ার জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।’
তবে মোহাম্মদ নাসিমের বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাকে বিদেশে নেয়া যাবে কিনা- তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন বিপ্লব বড়ুয়া।
মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন, মোহাম্মদ নাসিম শ্বাস নিতে পারছেন না। এমনকি চিকিৎসকরা তার শরীরে চিমটি কেটেছেন, তাতেও কোনও সাড়াও দিচ্ছেন না তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের হৃদযন্ত্র এখনও সক্রিয়। তবে রক্তচাপ উঠানামা করছে। মানুষ সাধারণত মিনিটে ১৮ থেকে ২০ বার নিঃশ্বাস নেয়। কিন্তু মোহাম্মদ নাসিম নিজ থেকে কোনও শ্বাসই নিতে পারছেন না। আমরা লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রেখেছি। গত ৫ দিন ধরে ডিপ কোমায় আছেন তিনি।’
গত সোমবার (১ জুন) শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর স্পেশাইজড হাসপাতালে ভর্তির পর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে মোহাম্মদ নাসিমের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের আইসিইউতে ব্রেন স্ট্রোক হয় নাসিমের। শুক্রবার তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তাকে আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় রাখা হয়।
অপারেশনের পর চিকিৎসকরা নাসিমকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে সেটি বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হয়।
গতকাল সোমবার (৮ জুন) নাসিমের আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে থাকার ৭২ ঘণ্টা পূর্ণ হচ্ছে। এর আগে গত শনিবার তার ছেলে তানভির শাকিল জয় জানিয়েছিলেন, আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টা পার হলে চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত সোমবার ডা. কনক কান্তি জানিয়েছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পালস শনি ও রবিবার একই রকম ছিল। তিনি ভেন্টিলেশনে আছেন। শ্বাস-প্রশ্বাস আগে যে রকম ছিল সেরকমই আছে। অবস্থার কোনও উন্নতি নেই।