বাজেটে মানুষ ‘বাঁচানো নয়, মৃত্যুর ব্যবস্থা’ করেছে সরকার: রিজভী

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এ বাজেটে মানুষ বাঁচানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেই। বরং মানুষ যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে দেশে গণতন্ত্র থাকলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, জবাবদিহিতা থাকলে করোনার আক্রমণে দেশ আজ সয়লাব হতো না।’

বাজেটে সরকারের ‘নির্মমতা ও নির্দয়তা’ ফুটে উঠেছে মন্তব্য করে এই বাজেটকে শুধুমাত্র মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট বলেও আখ্যা দিয়েছেন রিজভী।

বুধবার (১৭ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে “২০২০-২১ অর্থবছরে গতানুগতিক উচ্চবিলাসী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট ভাবনা থেকে বেরিয়ে মানবকল্যাণে করোনা সংকটকালীন যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত বাজেট প্রত্যাশা” শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে ফিউচার অফ বাংলাদেশ।

নতুন এ বাজেটকে একেবারে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট একেবারে শুভঙ্করের ফাঁকি। বাজেটের মধ্যে ফুটে উঠেছে সরকারের নির্মমতা ও নির্দয়তা। বাজেট পাস হয়নি, অথচ এর আগেই মোবাইল থেকে টাকা পাচার শুরু হয়েছে। এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যখাত। সে খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে গতানুগতিক। বিশেষভাবে কিছু করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা দুর্নীতির মহোৎসব ভয়াবহতা দেখলাম। সরকারের অদক্ষতা দেখলাম। আজকে মাস্ক নেই, হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেন নেই। এগুলো কিভাবে আনা যায়, অভাব কিভাবে পূরণ করা যায়- তা বাজেটের মধ্যে নেই।’

মানববন্ধনে রিজভী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতলে করোনা সুরক্ষা নেই। তাতে চিকিৎসা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে এর কোনও দিকনির্দেশনা নেই। বাংলাদেশের হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় ৮৬ শতাংশ নার্সদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার ছিল। তাদের সেই প্রশিক্ষণ নেই। ফলে যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তারা সঠিক সেবা পাচ্ছে না। প্রশিক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার তা বাজেটে নেই।’

এদিন দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী মোড়ে মোহাম্মদপুর ছাত্রদল আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খাদ্য বিতরণে যোগ দেন রিজভী।

এসময় তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে এমন কোনও সেক্টর নাই যে তিনি উন্নয়ন করেন নাই। এজন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। কিন্তু তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। তাঁর সততা, দেশপ্রেম মানুষ ভুলে যায়নি। তার অবদান মানুষ কোনদিন ভুলবে না, সারা জীবন স্মরণ করবে।’