৬৫-তে পা দিলেন শামসুজ্জামান দুদু

৬৪ পেরিয়ে ৬৫ বছরে পা দিলেন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রধান সেনাপতি, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান, কৃষক দলের আহবায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু।

জন্ম ও পরিবার
দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু ১৯৫৬ সালের ১৭ জুন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম এবং মা বেগম ফাতেমা ইব্রাহিম। ব্যক্তিগতজীবনে ১৯৯০ সালে তিনি প্রকৌশলী মুর্শেদা বানুর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দুদু-মুর্শেদা বানু দম্পতির ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

শিক্ষা
তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভি.জে হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন। এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৮-১৯৭৯ সেশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স এবং ১৯৮১ সনে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

রাজনীতি
মেধাবী এই রাজনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তার ছাত্রজীবন শেষ করেন এবং ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এই সাহসী নেতা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক কমিটির সদস্য, ১ম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, ধারাবাহিকভাবে সহ-সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ১৯৮৫ সালে ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৭৩ সালে প্রথম গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে ১৯৮২ ও ১৯৮৫ সনে দুই দফায় মোট আড়াই বছর কারাবরণ করেন। ১৯৮৬ সালে সবচেয়ে কম বয়সে বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ সালে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএনপির ৫ম কাউন্সিলে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।

বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশের আলোচিত এই রাজনীতিবিদ ও মিডিয়াব্যক্তিত্ব চুয়াডাঙ্গা-১ (সদর ও আলমডাঙ্গা) আসন থেকে দুই বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।