রাজধানীর কোন এলাকায় আক্রান্ত কত?

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রাজধানী ঢাকায়। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ২৪০ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ০৮ হাজার ৭৭৫ জনে।

শনিবার (২০ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৩২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি।

তিনি জানান, এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৫ জনে। এদিকে আরও এক হাজার ৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৪৩ হাজার ৯৮৩ জন সুস্থ হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬২৮ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এক হাজার ৫৩৮ জনকে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৭৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো— মিরপুর এলাকা ১,৫৮১, উত্তরা ৬৭৬, মোহাম্মদপুর ৫৯২, মহাখালী ৫২২, মুগদা ৫০১, যাত্রাবাড়ী ৪৮৪, ধানমন্ডি ৪৬৯, মগবাজার ৩৩৩, তেজগাঁও ৩১৫, কাকরাইল ৩০৪, রামপুরা ২৯৬, খিলগাঁও ২৯৩, লালবাগ ২৭০, বাড্ডা ২৬৪, গুলশান ২৩৮, রাজারবাগ ২৩০, মালিবাগ ২০৮, বাসাবো ১৮৬, গেন্ডারিয়া ১৭৩, বাবু বাজার ১৬২, ওয়ারী ১৫৪, আগারগাঁও ১৪০, বংশাল ১৩৭, শ্যামলী ১৩৫, শাহবাগ ১২৯, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ১২৯, ডেমরা ১১৮, আজিমপুর ১১৬, আদাবর ১১৫, হাজারীবাগ ১১৫, বনানী ১১৩, বনশ্রী ১১১, পল্টন ১০৮, শান্তিনগর ১০৫, রমনা ১০৫ ও পোস্তগোলা ৫ জন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা দেয় আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।