মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারকে এখন করোনার সংক্রমণ রোধ ও অসহায় মানুষের প্রোটেকশন, বন্যা কবলিত ১২টি জেলার মানুষের সুরক্ষা এবং আসন্ন ঈদে মানুষের সমাগম তথা ভিড় এড়ানো- এই তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদে মানুষের অবাধ চলাচল, ভিড় ও সমাবেশে অংশগ্রহণ সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আসন্ন কোরবানির ঈদে এ সমাগম ও ভিড় যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে, নিজের বেঁচে থাকার স্বার্থে।’
বছরের পর বছর নানান দুর্যোগ মোকাবিলা করেই আজকের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের দৃঢ় আস্থার অপর নাম দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে উন্নয়ন কাজে কিছুটা বাধা এলেও এখন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতির সঞ্চার হয়েছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল রুট-৬, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নমুখী সরকার, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান উন্নয়ন প্রবাহ ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সচেষ্ট।
সরকার নাকি জেল ভর্তি করে ফেলেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ- প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কোন শীর্ষ নেতা কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটির কোন নেতা জেলে গেছেন? পাল্টা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাদের পরিচয় -তারা অপরাধী। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন আদালত ব্যবস্থা কি নেবে না?
বিএনপির চিহ্নিত অপরাধী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন- তা মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চান ওবায়দুল কাদের। সেইসঙ্গে বিএনপি প্রতিদিন অশ্লিল ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।