আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে চিরঘুমে শায়িত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীর কবরস্থানে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষ হয়।
জানাজায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। জানাজার পরপরই তাকে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে শনিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে ব্যাংকক হতে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেত্রীর মরদেহ নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
রাতে বিমানবন্দরে সাহারা খাতুনের মরদেহ গ্রহন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নানা জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সাহারাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেওয়া হয়েছিল, ভর্তি করা হয়েছিল বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে (৯ জুলাই) তার মৃত্যু হয়।
গত ২ জুন জ্বর, অল্যার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় ৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুনকে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।
সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।